আমি ‘শিপ্রা’ বলছি............
লেখাটা বড় হলেও মন
দিয়ে পরবেন
আশা রাখি কারন
এটা সম্পূর্ণ বাস্তবিক।
আগে একটু আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই। আমার নাম
‘শিপ্রা চক্রবর্তী’ (কাল্পনিক)
। বাবা ‘
বাবা communist party’
বা ‘সমমনা’ দল এর একজন
নেতা, মা ‘সমাজসেবিকা’ ও ‘নারী কল্যাণ’ এর
সক্রিয় কর্মী। বড় বড়
জায়গায় এদের স্থান
বা নাই হল তবে ‘সমাজ’ এর
কথা ‘মানুষের’
কথা বলতে এরা পিছপা হয় না। ‘মানবতা’/সর্বধর্ম-
সমন্বয়’ ছিল সবার মুখে।
‘ধর্ম’ ব্যাপার না হলেও
‘জাত’ এর
বিভেদরেখা কিন্তু সমুন্নত
ছিল!! দাদা একটি বেসরকারি সংস্থায়
চাকুরী করে দূরে থাকে।
সবার আদরের একমাত্র
মেয়ে আমি, দেখতে-
শুনতে ভাল যেমন
তেমনি পড়াশুনায় ও গান- বাজনায়। বাড়িতে ধর্ম
চর্চার বালাই
না থাকলেও
পূজা তে নাচানাচির
ধুম বেশ ছিল।
সদ্য ১৯ এ পা দেওয়া যুবতী, HSC পাশ
করে ‘varsity’
তে গেছি। class এ ৭০ জন,
তার মধ্যে ১০ জন
হিন্দু, ৪ টে হিন্দু
মেয়ে বাকি ৬ টা হিন্দু ছেলে। হিন্দু
ছেলেগুলো মূলত
পড়াশুনো নিয়েই
ব্যস্ত, আর বাকিগুলো ‘ছোট
জাত’(!!) এর। আমিও
প্রথম প্রথম কোন ছেলেদের সাথে মিশতাম
না।
মুসলিম বান্ধবী রা ভাল
ছিল কিন্তু
মাঝে মাঝে ‘ধর্ম প্রসঙ্গে’
কথা উঠলে ‘বেহেস্ত’ প্রাপ্তি না হবার
সম্ভাবনায় ভীত
হয়ে ‘ইসলাম’
ছাড়া অন্য কোন
ধর্মে ‘বেহেস্ত’ এর পথ
সুরক্ষিত নয় সেটার জানান দিত।
কয়েক টা মুসলিম
ছেলে কাছে আসবার
চেষ্টায়
প্রথমে প্রথমে সফল
হয়নি। আমার সব বান্ধবী দের-ই bf আছে।
তাদের
দেখলে মাঝে মাঝে ‘যৌবন
এর জ্বালা’ তপ্ত
কাঞ্চনে সারিরিক রপ
নিত। পাশের ক্লাস এর ‘সরস্বতী’ কে দেখতাম
‘রুবেল’ এর
সাথে ঘোরাফেরা করতে।
আমি একটা হিন্দু
মেয়ে মুসলিম ছেলের
সাথে সম্পর্কের কথা ভাবতে পারতাম
না তবে আমার মুসলিম
বান্ধবী রা কিন্তু
উৎসাহিত করত এই
বলে যে ‘ধর্মের ওপর
ভালোবাসা’। মুসলিম বান্ধবী দের কাছ
থেকে আমার ‘ মুসলিম
বান্ধবী দের কাছ
থেকে আমার mobile number’
নিয়ে ‘হালাল
জিহাদি’ (কাল্পনিক নাম হলেও
ইঙ্গিত স্পষ্ট!!!!)
আমাকে প্রায় রাতে phone
করত। বেশ মজা পেতাম।
পোলার পয়সা আছে তার
চাইতে বেশী istylish, band এ গিটার বাজায়।
সুমিষ্ট গলায় আমাকে বশ
করে ফেলে। এরপর অর
সাথে ঘোরাফেরা করতাম।
আমার হিন্দু
বান্ধবী রা কিন্তু আমাকে এই বেপারে কিছু
সচেতন করে নি এবং আমিও
ভাবতাম এরকম প্রেম/
সম্পর্ক তো শুদুই ‘TIME PASS’,
এর স্থায়িত্ব
কিছুদিন এর। ছেলেটি নেশা-
গাজা করলেও ধর্মের
ব্যাপারে ঠিক ছিল। হিন্দু
ধর্মের খারাপ দিক
সে খুজে খুজে প্রায় সময়
তে আমাকে বলত ও ইসলাম যে কত সমৃদ্ধ সে কথাও
বলত। আসতে আসতে আমি তার
ওপর দুর্বল
হয়ে পড়তে থাকি।
সে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যেত,
কেনাকাটা করত আমার জন্য, তার ওপর
আমি কোনদিন-ই ধর্মের
পথে থাকিনি তাই আমার
কাছে ধর্ম প্রসঙ্গ খুব
বড় ব্যপার ছিল না।
ধীরে ধীরে সে আমাকে বিয়ের কথা বলতে শুরু করল। আমার
মা-বাবা-দাদা দের
কে কেউ কেউ বললেও
তারাও এ
ব্যপারে মাথা ঘামানোর
প্রয়োজন বোধ করে নি, তার ওপর ‘সব ধর্ম সমান’
সেটা তো ছিলই!!
আমরা দুজন দুই ধর্মের
এটা বললে ‘হালাল
জিহাদি’
বলত যে বিয়ের পর দুজন নিজেদের ধর্ম পালন করব,
আর ছেলেমেয়ারাও দুই
ধর্ম পালন করবে বা বড়
হয়ে যে কোন ধর্ম
বেছে নেবে।
বাঃ আমি তো বেজায় খুশি। ছেলের বাবা একজন
বড়লোক ও
প্রভাবশালী ব্যক্তি জামাত
পন্থী তবে এতে আমার
মাথা ব্যথা ছিল না কারন
আমি তো ‘হালাল জিহাদি’ কেই ভালবাসি তার
বাপের
সাথে আমার কোন মিল-
অমিল নেই। এভাবেই
কেটে গেছে ৩-৪ টি বছর,
দেহ দেওয়া-নেওয়ায় উদ্দাম
স্ফুলিঙ্গে শারীরিক
সুখপ্রাপ্তির
মাহেন্দ্রক্ষণে এল সেই
দিন। সেদিন
সকালে আমি বাড়ি থেকে বেরলাম বান্ধবীর বাসায়
যাব বলে, সেদিন
জানি না কেন
মা কে দেখলাম
পূজা করতে (শেষ
কবে দেখেছিলাম মনে পরছে না...),
বাবার শরীর তা ভাল ছিল
না দেখে কষ্ট হল
কিন্তু ওদিকে ‘হালাল
জিহাদি’
যে অপেক্ষা করছে। তারপর সে আমাকে ‘কাজি অফিস’
নিয়ে গেল। আমি বললাম
‘আমাদের তো ‘COURT
MARRIGE’ করবার কথা ছিল,
সে বলল
‘আগে এখানে একটা ‘নিবন্ধন’ করি তারপর ‘COURT
MARRIGE’ এর সময় তো রয়েই
গেল। সে তারপর
আমাকে তার বাবার
বাড়িতে ওঠাল, তার
বাড়ির লোকজন আমাকে বেশ
সারম্বরে ঘরে তুলে নিল
যেন
তারা আগে থেকেই
ব্যপারত টা জানত
যেটা আমার কাছে প্রায় অপ্রত্যাশিত
ছিল। আমি ‘COURT
MARRIGE’ এর কথা বললেও
‘হালাল জিহাদি’ যেন
ব্যপার
টা কে অবহেলা করতে শুরু করল। দুদিন
পরে আমার শ্বশুর
বাড়িতে মুসলিম
রীতি অনুযায়ী ‘নিকাহ’ এর
আয়োজন দেখে আমি একটু
একটু আঁচ করতে পারলাম ব্যপার
টা কতটা ‘পরিকল্পিত’।
নিকাহ হল আমাকে ‘ নিকাহ
হল, আমাকে ইসলাম’ ধর্ম
গ্রহনে কতকটা ‘বাধ্য’
করা হল আর আমার ফিরে যাবার উপায় ছিল
না।
‘হালাল জিহাদি’ বলল
এটা শুদু ‘সামাজিকতা’ আর
কিছুই নয়। মুসলিম নাম
দেওয়া হল ‘আয়েশা বেগম’। এরপর শুরু হয়
আমাকে ‘পুরোপুরি মুসলিম’
বানানোর প্রক্রিয়া।
এদিকে আমার বাবা পুলিশ
এ
খবর দিল। পুলিশ টালবাহানা শুরু করে দিল
(হাজার হোক তারাও
তো মুসলিম, আর
একটা ‘মালাউন’
মেয়ে ইসলাম গ্রহন
করেছে এটা তো তাদেরকেও খুশি করে!!)। এদিকে একদিন
আমার ননদ- ননদ-
শাশুড়ি মিলে আমাকে ‘খাসি’র
নাম করে ‘গরু’
খাইয়ে দিল ও
পরে আমাকে বলল যে ওটা ‘গরুর মাংস’
ছিল!!!! আমি সেদিন
বমি করেছিলাম। এরপর
বাড়িতে কোন আত্মীয়
এলেই ‘মালাউন
মেয়েকে মুসলিম বানান হয়েছে’ এই বলাবলি করত ও
‘বেহেস্ত’ নিসচিত
হয়েছে সেতার জন্য
বাহবা দিত
মূলত ‘হালাল জিহাদি’ কে।
একদিন সবাই মিলে আমাকে প্রথমে ‘brainwash’
পরে ‘জোর করে’
‘নামাজ’ পড়তে বাধ্য করল।
এখন আমাকে রোজ ৫ বার
করে নামাজ পড়তে হয় ও
মাঝে মাঝে ‘গরু’ খেতে হচ্ছে জেনে-না-
জেনে!!!!! আমাকে সবাই
‘আয়েশা’ বলেই ডাকে।
আমি এখন সেই নামেই
অভ্যস্ত
হয়ে গেছি! এরপর পুলিশ আমার শ্বশুর বাড়ি এল
কিন্তু আমি ‘প্রাপ্ত বয়স্কা’
এটা জেনে চলে গেল। এরপর
আমার মা-বাবা রা কিছু
না করে আমার
সাথে সম্পর্ক ছেদ করে দিল। আমার ২
টো ছেলে হল ‘শাহদাত’ ও
‘রায়হান’, তাদের ‘খৎনা’
হল
আমার সামনেই। আমিও
এদানিং কেন জানি দিন দিন
মুসলিম হয়ে যাচ্ছিলাম।
বাড়িতে প্রায় সময় তেই
আমার সামনে হিন্দু ধর্ম,
দেবদেবী নিয়ে কুরুচিপূর্ণ
কথা বলা হত এবং আমাকেও বাধ্য
করা হত এরকম বলতে।
ছেলেদের
মুখ চেয়ে সব সহ্য
করে গেছি কিন্তু দেখতাম
ওদের বন্ধুরাও ওদের বলত ‘কি রে তোর
মা টো মালাউন’, আশ্চর্যের
ছেলেরা সেটার
সাথে হাসত ও
আমাকে কটাক্ষ করত। এরপর
শুরু হয় ‘শারীরিক নির্যাতন’।
‘হালাল জিহাদি’ আগেই
মারত
এখন শাশুড়ি, ননদ এমন
কি মাঝে মাঝে বাইরের
আত্মীয় রাও গায়ে হাত তোলে!!!!! সারাদিন
বোরখা পরে থাকতে হয়
চোখ পর্যন্ত। রাস্তায়
পূজার সময়
প্রতিমা নিয়ে গেলে কাঁসা -
ঘণ্টা - উলুধ্বনি শুনলে চোখে জল
আসত,
নির্জনে নিরালায়
কাঁদতাম মুখ বন্ধ করে।
এরপর
একদিন ‘হালাল জিহাদি’ আরেক
টা মেয়ে কে বিয়ে করে আনল।
আমাকে দিয়ে সব কাজ
করাতো। একদিন আমাকে ঘর
থেকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দিল
একটি লোক এর সাথে বিক্রি করে দিল।
সেই লোক আমাকে নিয় গেল
‘পতিতাপল্লি’। সেখানেও
আমার সেখানেও আমার
কদর
ছিল ভাল ‘মালাউন মাগী’ বলে কথা!!!!! জোর
করে আমাকে বাধ্য করা হল।
এরপর বহু বছর আমার
ঠিকানা ছিল ‘টানবাজার’।
এখন আমার বয়স হয়েছে,
এখন আমার বয়স হয়েছে, এখন
আমি পথে পথে ভিক্ষা করি।
শ্বশুর
বাড়ি থেকে বের
করে দিয়েছে আর বাপের
বাড়িতে যাবারও পথ খোলা নেই। এখন
আমি নারায়াঙ্গঞ্জে একটি ঝুপড়ি তে থাকি।
আমাকে হয়ত
আপনারা অনেকেই
দেখে থাকবেন
আপনাদের আশেপাশেই। আমি ‘শিপ্রা’ বলছি,
সরি সরি ‘আয়েশা’ বলছি,
আমার
মত ‘আয়েশা’রা আপনাদের
আশেপাশে ঘুরছে। আসুন
আমরা ধর্মের পথে ছেলে- মেয়ে দের রাখি ও ‘হালাল
জিহাদি’ থেকে সাবধান
করি।
ভগবান এর
কাছে প্রার্থনা, আর
একটাও ‘শিপ্রা’ যেন ‘আয়েশা’ না হয়
ঠাকুর......
(হিন্দু বোনেদের ও
পারলে তাদের মা-
বাবা সহ সব
হিন্দু দের জানান)